কল্পনা বাস্তবতার হলোলেন্স
সিফাত তন্ময়
কল্পনার জগতকে বাস্তবে পেতে কার না ইচ্ছে করে? প্রযুক্তির ছোয়ায় কল্পনার অনেক কিছূ আজ মানুষের আয়ত্বে, থ্রিডি গেম বা মুভি গুলোর মাধ্যমে অনেকটাই প্রবেশ করা যায় কল্পনা বা রুপকথার জগতে, থ্রিডি রোমাঞ্চকর এই মুভি বা গেমগুলোর মাধ্যমে কল্পনা আর বাস্তবকে এক করে ঘটনাগুলোকে অনুভব করা যায় চোখের সামনেই, কিস্তু এখন আর শুধু গেম মুভি বা কম্পিউটার অথবা মোবাইলের স্ক্রিনে নয়, এখন চোখের সামনেই আমাদের চারপাশের জগতের অংশ হয়ে গেম সহ ঘটনা গুলো ঘটবে বাস্তবের মতই । ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পৃথিবীতে আসার আগেই টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট্ একট নতুন প্রযুক্তির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছে। আর সেটি হচ্ছে মাইক্রোসফট্ হলো লেন্স টেকনোলোজি। এখানে কল্পনার জগৎকে বাস্তব হিসেবে উপস্থাপিত করা হবে না বরং কল্পনার জগৎটি বাস্তবে তৈরী করা হবে।
এর মাধ্যমে চারপাশকে ডিজিটাল জগৎ বানিয়ে ডিভাইসটির আওতাভূক্ত করে কাজ করা যাবে যে কোন বস্তুর ওপর,
ঘরে বসেই স্বাদ পাওয়া যাবে মঙ্গল গ্রহে ঘুরতে যাওয়ার, চালানো যাবে পরীক্ষা নিরীক্ষণ,
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিকল্প হিসেবে এসেছে হলোলেন্স টেকনোলজি। হলোলেন্স গ্লাসটি হলোগ্রাফিক ইমেজ প্রসেসিংয়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরী। লেন্সটির ইমেজ প্রসেসিং ছাড়াও রয়েছে সাউন্ড প্রসেসিংয়ের জন্য বিশেষভাবে অপটিমাইজড্ টেকনোলজি। আরো চমক হিসেবে মাইক্রোসফট যেটি দিতে যাচ্ছে সেটি হচ্ছে হলোস্টুডিও। যেখানে তৈরী করা যেকোন ত্রিমাত্রিক বস্তুকে থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে বাস্তবিক রূপ দেয়া যাবে।
তাহলে সম্ভবত বলা যেতেই পারে ভবিষ্যৎে হলো লেন্স টেকনোলজি পার্সোনাল কম্পিউটারের সফল বিকল্প হিসেবে স্থান পেতে যাচ্ছে ।
প্রতিক্ষণ/এ. ডি./এস. টি